Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

তার প্রিয় খাদ্য শুয়রের মাংস এবং বিদেশি মদ তিনি মহম্মদ আলি জিন্নাহ একটি মুসলিম রাষ্ট্র তৈরী করেছিল

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন উপমহাদেশের ইতিহাসের এক অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁকে "পাকিস্তানের জনক" (Quaid-e-Azam) বলা হয়। ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত করে একটি আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র গঠন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য।



তার প্রিয় খাদ্য শুয়রের মাংস এবং বিদেশি মদ তিনি মহম্মদ আলি জিন্নাহ 


লেখক:- অভিজিৎ বোস 

ব্রিটিশ ও কংগ্রেসের সাথে আলোচনা

গান্ধী-জিন্নাহ বৈঠক (১৯৪৪): গান্ধীর সাথে একক আলোচনায় তিনি প্রমাণ করেন যে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য সম্ভব নয়।


ক্যাবিনেট মিশন প্ল্যান (১৯৪৬): ব্রিটিশ মন্ত্রীদলের সাথে দরকষাকষি করে তিনি পাকিস্তানের দাবি আরও শক্তিশালী করেন।

---


মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ও ভারত ভাগ (১৯৪৭)

ভারত বিভাগের সময় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে আলোচনা ও কৌশলগত অবস্থানে থেকে জিন্নাহ পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনে সফল হন। তাঁর অন্যতম কূটনৈতিক কৌশল ছিল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি অংশ গঠনের সম্মতি আদায়।


যার ফল স্বরূপ আজও ভারতের উন্নয়ন পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান আর ভবিষ্যতেও থাকবে, এর ফলে বৈদেশিক দেশ উন্নতি করে যাবে এবং ভারত পিছিয়ে থাকবে।



🕴️ কূটনৈতিক পদক্ষেপ


১. হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রয়াস (1916 সালের লখনউ চুক্তি):-

প্রথম জীবনে জিন্নাহ ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন নেতা। তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যে বিশ্বাস করতেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক সমঝোতা — *লখনউ চুক্তি* — সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।


 ২. দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা:-

পরবর্তীতে কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদ এবং মুসলিমদের স্বতন্ত্র পরিচয় রক্ষার লক্ষ্যে তিনি দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory) প্রচার করতে শুরু করেন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী হিন্দু ও মুসলিম দুইটি আলাদা জাতি, এবং মুসলিমদের আলাদা রাষ্ট্র প্রয়োজন।


৩. লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০)

১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ লাহোরে এক ঐতিহাসিক অধিবেশনে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি তোলে। জিন্নাহ এই প্রস্তাবের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন। এটিই পরবর্তীতে পাকিস্তান সৃষ্টির মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়


৪. ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক


জিন্নাহ অত্যন্ত ধৈর্য ও কৌশলের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান। তিনি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে চুক্তিতে না গিয়ে ব্রিটিশদের সমর্থন লাভে সচেষ্ট হন, যার মাধ্যমে তিনি মুসলিম লীগের পক্ষে স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেন।


 

 ☠️ মৃত্যুর শেষ দিন (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮)


জিন্নাহ ছিলেন দুরারোগ্য যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তিনি তাঁর অসুস্থতা দীর্ঘদিন গোপন রেখেছিলেন। ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


শেষ দিনের বিবরণ:

My Brother Jinnah বই থেকে পাওয়া যায় যে Pakistan জনক জিন্নাহ কে তার শেষ সময় এয়ারপোর্ট এ নিয়ে আসতে শুধু একটা আর্মি এম্বুলেন্স আর কেউ এ আসিনি, সেই এম্বুলেন্সের তেল শেষ হয়ে যায়|

২ জন যায় এম্বুলেন্স নিয়ে আসতে এক ঘন্টা পর আসে এম্বুলেন্স তারপর সেইখান থেকে গভর্নর জেনারেল আর হাউস এ ৩০ মিনিট পর ডাক্তার আসে, অক্সিজেন দেয়ার কথা বলে চলে গেলেন, ঘন্টা দেড়েক পর এলো অক্সিজেন, জ্ঞান ফিরলো জিন্নাহর তার বোন দিকে তাকিয়ে রইলেন তার বোন তার মুখের কাছে কান নিয়ে যেতেই বলল খুদা হাফিজ ফাতিহ 

 জিন্নাহ শেষ দিনে তার পাশে তার বোন ফাতেমা জিন্নাহ

* তিনি তীব্র শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতায় ভুগছিলেন।

* করাচির গভর্নর হাউসে তিনি মারা যান রাত ১০টা ২০ মিনিটে।

* তাঁর মৃত্যুর সময় পাকিস্তানের সরকারব্যবস্থা সদ্য গঠিত ছিল এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কাঠামো তখনো দুর্বল ছিল।


জিন্নাহর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে এবং তাঁর অবদান স্মরণ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।


---

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কূটনৈতিক দক্ষতা, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও যুক্তিবাদী মনোভাব তাঁকে ইতিহাসে স্থায়ী করে রেখেছে। যদিও তাঁর সিদ্ধান্ত ভারত ভাগের পথকে প্রশস্ত করেছিল, তবে তিনি মুসলিমদের রাজনৈতিক স্বার্থকে রক্ষা করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যু ছিল শুধু একজন নেতার মৃত্যু নয়, বরং একটি নবগঠিত রাষ্ট্রের পিতার বিদায়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ