কে হচ্ছেন সুশীলা কার্কি — নেপালের নতুন অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্বে নিজেকে তুলে ধরলেন আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
স্থান: কাঠমাণ্ডু, নেপাল
নেপালে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তালতার পর এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর প্রধানত যুব সমাজ, বিশেষ করে Gen Z আন্দোলন, আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি-কে অস্থায়ী সরকারের অগ্রণী হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
![]() |
| Research By Avijit Bose |
🧑⚖️ কে এই সুশীলা কার্কি?
তিনি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন, ২০১৬ সাল থেকে বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন ও ২০১৭ সালে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন ।
শিক্ষা করেন বিরাতনগরের ট্রিভুভন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে এবং বানারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি-বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।
বিচারপ্রতিরোধ এবং দুর্নীতি মোকাবেলায় তার কঠোর অবস্থানের জন্য তিনি জনসমক্ষে পরিচিত ছিলেন; এমনকি একটি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রায়ের ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ([Wikipedia][2])।
---
⚡ কেন তাঁকে নির্বাচন করা হলো ?
যুব আন্দোলন বিশেষভাবে রাজনৈতিক দল‐সংযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে নেতৃত্বে চাননি; নীতি, নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য কার্কি‐র নাম এগিয়ে রাখা হয়েছে ।
তার বিচারিক অধিকার, সংশোধনমূলক মন্তব্য এবং রাজনৈতিক স্বার্থবিরোধী রায়গুলোর কারণে তাঁকে অনেকেই একটি “সংহত ও বিশ্বাসযোগ্য” অভিভাবক হিসাবে দেখছেন ।
🌍 পরিস্থিতি কী রকম?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারী নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব ও অন্যান্য রাজনৈতিক উদাসীনতার কারণে নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়; এতে মারা যান প্রায় ২৫-৩০ জন, আহত হন শতশত ([Reuters][4])।
নিরাপত্তা বাহিনী বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে; শহরে নীরবতা এবং সাধারণ কার্যক্রম ধীরে ধীরে ফিরছে ([Reuters][4])।
🔮 ভবিষ্যতের চিত্র ও চ্যালেঞ্জ
কার্কি দায়িত্ব গ্রহণ করলে তাঁর কাজ হবে অস্থায়ী সরকারের তত্ত্বাবধানে **নির্দলীয় নির্বাচন ও ক্ষমতার পরিবর্তনের সুদৃঢ় পথ** গঠন করা ।
তবে কিছু আন্দোলন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে রয়েছে পার্থক্য: কেউ চান তৎকালীন নেতৃত্বে যুব সমাজের প্রতিনিধি, আবার কেউ চান পুরোনো রাজনৈতিক কাঠামোতে সংস্কার—এই দৃষ্টিভঙ্গার মিল ঝড় হতে পারে ।
---
উপসংহার:
সুশীলা কার্কি শুধু এক বিচারপতি নয় বরং নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছেন। বিচারপতির আসনে তার সততা, ন্যায়সংক্রান্ত রায়-দৃষ্টি ও পার্থক্য গড়ার ক্ষমতা এখন তাকে অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্বে তুলে ধরেছে। আগামী মাসগুলিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ কোন দিকে যাবে—নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নাগরিক শক্তির তত্ত্বাবধানে নাকি পুরানো রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে — সেটাই আসল প্রশ্ন।
---
👉 পাঠকদের জন্য:আপনি কি মনে করেন নেপালের জন্য সুশীলা কার্কি একটি স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারবেন? নিচে মন্তব্য করে জানান।


0 মন্তব্যসমূহ